প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের আরফান আলীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। ওই টাকা ফেরত পেতে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন আরফান। বিষয়টি সমাধানে দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সল আহমদকে। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী আরফানকেই পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে অবশ্য আরফান ছাড়া পেয়েছেন।

আরফান জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নিজ গ্রামের মানিক মিয়া তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। এসিল্যান্ড ফয়সলের নাম ভাঙিয়ে এ টাকা নেন মানিক। পরে আরফান জানতে পারেন, এ ঘরের জন্য টাকা লাগে না। তিনি টাকা ফেরত চাইলে মানিক তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মঙ্গলবার তিনি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ সময় অফিসকক্ষে হাজির হন এসিল্যান্ড। ইউএনও অভিযোগের কপি দিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন এসিল্যান্ডকে। 

বিকেলে দু'পক্ষকে ডাকেন এসিল্যান্ড। এ সময় তিনি আরফানকে ধমকাতে থাকেন। পরে তিনি আরফান ও তাঁর শ্বশুর আব্দুল মালেককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় সংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টায় তাঁরা ছাড়া পান।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে মুচলেখা নিয়ে দু'জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরফান বলেন, তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য। তারপরও তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাঁদের ছাড়িয়ে আনেন।
এসিল্যান্ড ফয়সল বলেন, 'আরফান আলীর অভিযোগ, উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে আমরা টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করেছি। ইউএনও বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে দেন। আমি শুনানি নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাইনি। এর বেশি কিছু হয়নি।'

ইউএনও ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, উপহারের ঘরের তালিকা এসিল্যান্ড করেন। এ জন্য তদন্তের দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়।