- সারাদেশ
- রহিমা বেগমের আত্মগোপন জানত পরিবার
রহিমা বেগমের আত্মগোপন জানত পরিবার
তদন্তে অগ্রগতি, প্রতিবেদন শিগগিরই-পিবিআই

খুলনার আলোচিত রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অপহরণ নয়, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি; যা পরিবারের সদস্যরাও জানতেন। এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। শিগগিরই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রহিমা বেগমের আত্মগোপনের সময় তাঁর তৃতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন। রহিমা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁর ওড়না, স্যান্ডেল ও পানির বালতি বেলাল বাড়ির সামনে রেখে নিখোঁজের কথা ভাড়াটিয়াদের জানান। নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য, রহিমার আত্মগোপনের বিষয় তাঁর স্বামী জানলেও মুখ খোলেননি। এ জন্য তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া রহিমা বেগমের কথিত অপহরণ রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে। এ জন্য গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না বলে জানান তিনি।
পিবিআই বলছে, রহিমা বেগম প্রথমে বান্দরবান সদরের ইসলামপুর গ্রামে গিয়ে মনি বেগমের আশ্রয়ে ছিলেন। দু-একদিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবদুল মান্নান বান্দরবানে গিয়ে মনি বেগমসহ সংশ্নিষ্টদের বক্তব্য নেবেন।
গত ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহিমা বেগম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন