- সারাদেশ
- খুলনায় চালক হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের রনি ঢাকায় গ্রেপ্তার
খুলনায় চালক হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের রনি ঢাকায় গ্রেপ্তার

খুলনার চালক খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার। ছবি-সমকাল
খুলনায় গাড়ির চালক হত্যার ঘটনায় পালিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বুধবার ঢাকার লালবাগ থানার শহীদ নগর ১ নম্বর গলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানায় র্যাব। গ্রেপ্তার রনি শিকদার (২৭) চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার আব্দুর রউফ শিকদারের ছেলে। গত ২২ মার্চ খুলনার মাহিন্দ্রা চালক শেখ ওহিদুর রহমান হত্যাকাণ্ডে রনিসহ তার চার বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।
র্যাব সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম থেকে রনিসহ চার বন্ধু মিলে খুলনায় বেড়াতে যায়। তারা সেখান থেকে গাড়ি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ওই বছরের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৭০০ টাকায় একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি ভাড়া করে। কিছুদূর আসার পর চার বন্ধু মিলে মাহিন্দ্রা চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপনকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরে গাড়িটি নিয়ে পালানোর সময় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তারা। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে চালক রিপনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় খুলনার লবণচরা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রিপনের ছোট ভাই। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিআইডিও চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২২ মার্চ চালক রিপন হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। মামলার মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ২ নম্বর আসামি রনি শিকদার।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, খুলনার মাহিন্দ্রা চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যাকাণ্ডে চলতি বছর চট্টগ্রামের চার বন্ধুর মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এরপর তাদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটির অন্যতম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রনি শিকদারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যায় রনি শিকদার। গ্রেপ্তার এড়াতে একেক সময় একেক ঠিকানা ব্যবহার করতেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তারের পর লবণচরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন