ফরিদপুরে বিএনপির শোক শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ফলে মাঝ পথে তাদের কর্মসূচি শেষ করতে হয়। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে মুজিব সড়কে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নেয় বিএনপির ফরিদপুর মহানগর শাখা।

প্রথমে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়। পরে প্রেসক্লাব থেকে মুজিব সড়ক ধরে মিছিলটি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে আসে। সেখানে বিএনপির নেতৃবৃন্দ সমাবেশ করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ সমাবেশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যানার কেড়ে নেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ূম জঙ্গীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন।

বক্তারা বলেন, পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে গুলি করে হত্যা কিংবা মামলা দিয়ে বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেওয়া যাবে না। রাতের আধারে ভোটের সরকার জনগণের প্রতি কোন দায় দায়িত্ব পালন করছে না। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নির্বাচন আয়োজন করে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিএনপির সমাবেশে পুলিশের বাধা দেওয়ার বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ছিল শোক শোভাযাত্রা করার। সেটি করতে বাধা দেওয়া হয়নি। তবে সমাবেশ করার কোন কর্মসূচি তাদের ছিল না। এজন্য সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।