খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা।

বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেন তিনি। এ সময় আরেকটি আবেদনে তিনি ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধির বিষয়ে আপত্তি এবং আগের মতো ৯টি ভোটকেন্দ্র বহাল রাখার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসকের পক্ষে অভিযোগ গ্রহণকারী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইউসুপ আলী বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগে মোর্ত্তজা উল্লেখ করেন, ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান এবং ভোটারদের কাছ থেকে তা বুঝে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথকে রুদ্ধ করেছে।

পৃথক আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডে ৯টি ভোট কেন্দ্র হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মেয়র ভোট বুঝে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রকে ভাগ করে খুলনা সিটি করপোরেশনে একটি ও রূপসা উপজেলার ভোটারদের জন্য একটি আলাদা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকার ৪২টি ভোটের জন্য আলাদা কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট বুঝে নেওয়ার একটি কৌশলগত দিক বলে মনে হয়েছে।

৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলার ৯ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় সিটি মেয়র প্রধান অতিথি এবং খুলনার ছয় সংসদ সদস্য বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে জানতে কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।