মায়ের চিকিৎসা শেষে বগুড়ায় বাড়িতে নিয়ে আসতে বোনের বাসা কুমিল্লায় গিয়েছিলেন রিফাত হাসান। প্রাইভেটকারে করে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে সড়কে বাসচাপায় প্রাইভেটকার পিষ্ট হয়ে মা-ছেলে নিহত হন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের এ ঘটনায় বাসটির চার যাত্রী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩৫ যাত্রী।

রিফাত হাসান বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন ও রুবি বানুর (৬০) একমাত্র ছেলে। রিফাতের বয়স ৩০ বছর।

রিফাতের স্ত্রী নুরুননাহার নুরী জানান, তার শাশুড়ি রুবি বেগম কুমিল্লা সেনানিবাসে মেয়ে রাফসানার বাসায় থেকে গত তিন মাস ধরে কিডনি ও হৃদযন্ত্রের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত সপ্তাহে তিনি ছেলেকে ফোন করে বগুড়ার বাড়িতে আনার জন্য কুমিল্লা যেতে বলেন। বুধবার একটি প্রাইভেটকার নিয়ে মাকে আনতে রিফাত কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে বগুড়া থেকে ঢাকামুখী একতা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাসটি রিফাতদের প্রাইভেটকারটির ওপর উঠে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই রিফাত ও তার মা রুবি বানু নিহত হন এবং প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। প্রাইভেটকারের চালক গুরুতর হয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

রিফাত পেশায় ব্যবসায়ী। তার সাত বছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। রিফাতের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় আজ সকাল ৮টায়। সেই কথাই শেষ কথা।