- সারাদেশ
- এমপি আয়েনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধর
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন
এমপি আয়েনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধর
-samakal-633efaa94db4d.jpeg)
হামলায় আখতারের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ছবি- সমকাল
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতারের (মোটরসাইকেল) প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের পুলিশে দেওয়াসহ গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও পাওয়া গেছে। মারধরে এমপিকে সঙ্গ দেন মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া ও সভা-সমাবেশে অংশ নেওয়ায় এমপি আয়েন উদ্দীনকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু তা পাত্তা না দিয়ে তিনি জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।অভিযোগে আখতারুজ্জামান জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে তার কর্মীরা পোস্টার ও ফেস্টুন টানাচ্ছিল। এ সময় মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বাধা দেয়। তারা প্রচারকর্মী অসিম কুমার দাস, মেহেরুন এবং মিশুক চালক সুইটকে লাঞ্ছিত করে। পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে তাদের ধুরইল ইউপি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে আখতারুজ্জামানের নির্বাচন সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ ১২ জন নেতাকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এতে চেয়ারম্যান দেলোয়ার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদসহ সহকর্মীদের ওপর হামলা চালান। ৭ জনকে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে আটকে রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় এমপি আয়েন উদ্দীন এসে মাসুদ ও তার লোকদের মারধর শুরু করেন। পরে মোহনপুর থানা পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় আটকে রাখে।
আটক সাতজন হলেন- বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন, রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু, মৃত অ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে গোলাম আযম ফারুক, মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোহাম্মাদ আলী ও রাজশাহী হড়গ্রাম এলাকার মন্টুর ছেলে রাফি। পরে রাত ৩টার দিকে মোহনপুর থানা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান তাঁদের ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এমপি আয়েন উদ্দীন।
এ বিষয়ে এমপি আয়েন উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই মাইক্রোবাস চাপায় একজন আহত হওয়ায় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে তাঁদের গণধোলাই দেয়। এমপি ও আমি কাউকে মারধর করিনি। মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন