পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নতুন করে আর পাহাড় কাটতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ডিআইজি আনোয়ার আরও বলেন, পাহাড় কেটে খাস জমি বিক্রি করার ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। উচ্ছেদে গেলে তাদের লোকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জঙ্গল সলিমপুরের অবৈধ বসতি নিয়ে তিনি বলেন, আগে সেখানের বাসিন্দাদের কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও অনেকেই রয়ে গেছে। চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়ার পরে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে।

এদিকে জঙ্গল সলিমপুরের উদ্ধার করা এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণে নিরপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন বলেন, নতুন করে যাতে কেউ পাহাড় কাটতে না পারে সে জন্য র‌্যাব-পুলিশ-আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাহাড়ে অবৈধভাবে যারা বসবাস করছে তাদের নিজ নিজ স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী পুনর্বাসন করা হবে। এ ছাড়া উচ্ছেদ করা অংশে আর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না।

সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-বন সংরক্ষক আবুল কালাম, বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।