বরগুনা-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার, ভোটারদের ঘুষ প্রদান, কোরআন শরিফ নিয়ে ভোটারদের শপথ পড়ানো এবং নৌকা সমর্থিত প্রার্থীদের বিরোধিতাসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার সকালে পাথরঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব অভিযোগ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ আসনের সদস্যপ্রার্থী ও পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার এমএ খালেক মিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করছেন এমপি হাচানুর। তিনি খালেকের প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হোসাইনের পক্ষে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে এনামুলের মালিকাধীন পাথরঘাটার একটি বরফকলে উপজেলার অধিকাংশ চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং পৌর কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন এমপি হাচানুর। এ সময় প্রত্যেক ভোটারকে শপথ পড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেন। এ ঘটনার ছবি এবং অডিও রেকর্ড পরবর্তীতে প্রকাশ পেয়েছে।

আরও অভিযোগ করা হয়, এমপি হাচানুরের বাবা একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী হওয়ায় তিনি সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধিতা করে আসছেন এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের কৌশলে সমর্থন করে যাচ্ছেন। এ সময় শহীদুল ইসলাম, বকুল তালুকদার, মনমঠো গাইন, মনি মণ্ডলসহ প্রায় অর্ধশত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, দুপুরে পাথরঘাটা পৌর শহরে এমপি হাচানুরের বাসার সামনে (পাথরঘাটা কলেজ প্রাঙ্গণে) পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন প্রার্থী এনামুল হোসাইন। তিনি বলেন, এমএ খালেক নির্বাচনে পরাজিত হবেন জেনে এসব মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। এ সময় পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে এমপি হাচানুর বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে এনামুলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে টাকাপয়সা লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাবার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এসব অভিযোগ অনেক আগে থেকেই তাঁরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করে আসছেন। আর যাঁর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার জন্য তিনি এসব কাজ করছেন।