শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্র-বিস্ফোরক ও মাদকসহ অন্তত ৬ মামলার আসামি ইমান আলী ওরফে ফেকাসুরকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইগাতীর কাংশা বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি কাংশা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাংশা বাজারে কিছু খাস জমির দখল নিয়ে স্থানীয় মো. জলিল ও জব্বারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফেকাসুরের বিরোধ ছিল। ইতোপূর্বে এ নিয়ে ফেকাসুর মামলাও করেন। সম্প্রতি জলিল ও জব্বারের বিরুদ্ধে ফেকাসুর তাঁর মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করেন। এতে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফেকাসুর মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলায় তাঁর মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কাংশা বাজারের কাছে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে ধাওয়া করে ধানখেতের মধ্যে ফেলে দা-ফালাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এতে ব্যাপক রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফেকাসুর। তাঁকে রক্ষা করতে এসে তাঁর দুই ভাই শামসুল মিয়া ও আব্দুল লতিফও আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফেকাসুরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।