- সারাদেশ
- গোপালগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আজ আসামিদের আদালতে তোলার সময়কার একটি চিত্র
গোপালগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী অছিকার রহমান সরদারকে (৬৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এই আদেশ দেন। এই মামলার অপর সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অছিকার জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গার মুন্সিরচর গজালিয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার সরদার ওরফে সেকেন সরদারের ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- অছিকারের প্রথম স্ত্রী রাহিলা বেগম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গার মুন্সিরচর গজালিয়া গ্রামের মজিবর সরদারের ছেলে আওলাদ সরদার, মো. কাশেম মোল্যার ছেলে কবির মোল্যা, মো. আনোয়ার সরদারের ছেলে মো. জাবের সরদার, মৃত মোন্তাজ সরদারের ছেলে আনোয়ার সরদার, মান্নান সরদার ও সেকেন্দার সরদারের ছেলে মো. জাকির সরদার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অছিকার টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশে ২০০০ সালে বিধবা জরিনাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের পর জরিনার ভরণপোষণ বন্ধ করে দেয় অছিকার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভরণপোষণের দাবিতে জরিনা গোপালগঞ্জের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অছিকার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে জরিনার হাতে পায়ে ধরে তিনি ওই মামলা থেকে ২০০৫ সালের ৪ জুন জামিনে বেড়িয়ে আসেন। জামিনে বেড়িয়ে এসে ৭ জুন গভীর রাতে জরিনাকে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন ৮ জুন নিহতের ভাই মো. দাউদ সিকদার বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে এক আসামি মারা যান। দীর্ঘ তদন্ত শেষে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক সোহরাব হোসেন ৮ আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে বিচারক অছিকারকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. রবিউল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন। এপিপি শহিদুজ্জামান বলেন, বাদী ন্যয্য বিচার পেয়েছেন। আসামি পক্ষের রবিউল বলেন, এই ব্যাপারে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
মন্তব্য করুন