- সারাদেশ
- মনোনয়ন জমা দিলেন আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া
ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন
মনোনয়ন জমা দিলেন আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া

ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে হাজার হাজার সমর্থককে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। তিনি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার দুপুরে সালথা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.তেলায়েত হোসেনের কাছে তিনি এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক ভাইস চেয়ারমান লেবু মোল্লা, সালথা উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইশারত হোসেন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন, বল্লভদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: খোরশেদ খা সহ সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। ৯ অক্টোবর দুপুরে ফরিদপুরের নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছে তিনি এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সাবেক সাংসদ মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জামাল হোসেন বলেন, আমি নৌকার বিপক্ষে নই, বরং লাবু চৌধুরী ও তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে। নির্বাচন করে এই এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমাদান উপলক্ষে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে সালথা উপজেলা থেকে বিশাল শোডাউন করে নগরকান্দার তালমায় তার নিজ বাড়িতে যান জামাল হোসেন মিয়া। তার নির্বাচনী এলাকা সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
সালথা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তেলায়েত হোসেন জানান, ফরিদপুর ২ আসনের এই নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ।
উল্লেখ্য, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন ২৬ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১০ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর।
এ উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ১১ সেপ্টেম্বর ওই আসন শূন্য হয়।
মন্তব্য করুন