গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে গাজীপুর শহরের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। আহতদের মধ্যে চার জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এতে যুবদলের ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।

সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে শোক র‌্যালি বের করে। একপর্যায়ে শোক র‌্যালি বিক্ষোভ মিছিলে রূপান্তরিত হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মিছিল বন্ধ করার অনুরোধ করেন।

গাজীপুর মেট্রোলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আক্রমণাত্মক ছিলেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে এসআই উৎপল, কনস্টেবল কামরুল হাসান, সাব্বির ও মনির আহত হন। পরে পুলিশ সদস্যরা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন।’

জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘সারা দেশের মতো নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে শোক র‌্যালি বের করে জেলা বিএনপি। শান্তিপূর্ণ র‌্যালিটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কয়েক গজ সামনে এগুতেই পুলিশ বাধা দেয় ও ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সামনে এগুতে চাইলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের ছয় জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। যুবদল নেতা জাকির, মারুফ, মাসুম, মাজহারুল, নাজির ও আরিফ গুলিবিদ্ধ এবং যুবদল নেতা ইব্রাহিম ও ছাত্রদল নেতা ফাহিম, মোস্তাফিজ, নাজমুল হোসেন ও সাইফুল মোল্লাসহ আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ১৪ জনকে আটক করেছে।’

জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার  হোসেন সমকালকে বলেন, ‘মিছিল করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একজন পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা দেয়। এরপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ সদস্যরা মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য ছয় রাউন্ড টিয়ারশেল, ৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আহত চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’