- সারাদেশ
- জেলা পরিষদ নির্বাচন: পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ
জেলা পরিষদ নির্বাচন: পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ

দুর্বৃত্তের হামলায় ভেঙে গেছে প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখের বাড়ির দরজার গ্লাস। ছবি-সমকাল
পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখ ও দেলদার রহামান দিলুর বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, ভয়ভীতি দেখানো, গালিগালাজসহ ইট পাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার গভীর রাতে একদল হেলমেট বাহিনী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায় ও ভয়ভীতি দেখায়।
এ ঘটনায় বড় কোন ক্ষতি না হলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী হান্নান শেখের বাড়ির দারোয়ান আহত হন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখের বাড়ির দারোয়ান আব্দুল হাই বলেন, শনিবার রাতে ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেলে করে লোকজন এসে আমাদের বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি এবং লাথি মারতে শুরু করেন। তারা বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। আমি দরজা খুললে তারা আমাকে মারপিট করে চলে যায়।
আরেক প্রার্থী মো. দেলদার রহমান দিলু বলেন, ‘আমি নির্বাচনের কাজে বাইরে আছি। আমার স্ত্রী শামিমা নাজনীন বাসায় ছিলেন। তিনি আমাকে জানান, মোটরসাইকেলের একটি বহরে লোকজন বাসার সামনে এসে উচ্চ শব্দে আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে বলেন। এ সময় তারা খারাপ ভাষায় গালাগালি করেন এবং বাইরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে চলে যান।
পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, হেলমেট বাহিনী মোটরসাইকেল শো ডাউন করে আমার বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গালিগালাজ করে। তারা আমার দারোয়ানের মাথায় আঘাত করে। এ বিষয়ে আমি জেলা রির্টানিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমান বলেন, নির্বাচনী কাজে আমি দেবীগঞ্জে আছি। আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবু সারোয়ার বকুল বলেন, আজকে মোটরসাইকেল শোডাউন করার কথা ছিল, আমি এই পর্যন্তই জানি। হামলা বা ভাংচুরের কোন খবর আমার জানা নেই। কোন হামলার ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের প্রার্থীর সুনাম নষ্ট করতে এটা ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা করা হচ্ছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, দুই প্রার্থীর বাড়ির সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলের শোডাউন দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। কেউ হয়ত ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন বলে আমার মনে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পুলিশ সুপার বিষয়টি নিজেই দেখছেন। যদি এমন কেউ করে থাকেন, তাদের অবশ্যই আইডেন্টিফাই করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। নির্বাচন পর্যন্ত সকল প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের।
মন্তব্য করুন