কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনের চাকরি তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বহাল করতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে আবারও চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। চার বছর ধরে তাঁর চাকরি ঝুলে রয়েছে। ১২ অক্টোবর এক চিঠিতে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু দুই কার্যদিবস পার হলেও সাবিনা ইয়াছমিনকে স্বপদে বহাল করা হয়নি। বরং তাঁর যোগদান ঠেকাতে পরিচালনা পর্ষদ গত শনিবার জরুরি সভা আহ্বান করে বলে জানা গেছে।

চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শামসুর রহমান বাবু বলেন, একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সাবিনাকে স্বপদে বহালের নির্দেশনা রয়েছে। মাউশি মহাপরিচালকের (ডিজি) আইন শাখা মতামত দিয়েছে। আমাদের কলেজের আইনজীবীর মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
২০১৯ সালে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সাবিনা ইয়াছমিন উপাধ্যক্ষের পদ ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৪ বছরে তাঁকে যোগদানের বিষয়ে কমপক্ষে ৫ দফা চিঠি দেয় মাউশি। কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাঁর যোগদান ঝুলিয়ে রেখেছে।
১২ অক্টোবর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠিতে মহাপরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস। একই সঙ্গে তাঁর যোগদানে বাধা নেই উল্লেখ করে ডিজির আইন শাখা মতামত দিয়েছে।
এদিকে ডিজির চিঠি পাওয়ার পর কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গত শনিবার জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কলেজের সাবেক শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ডিজির চিঠির বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে সাবিনাকে স্থায়ী বহিস্কার করার কথা বলেন। তবে সভায় উপস্থিত ১৩ সদস্যের ৮ জনই সাবিনার যোগদানের পক্ষে তাঁদের মতামত দেন বলে জানা গেছে।
সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমাকে স্বপদে বহালের নিদের্শনা দিলেও আমার যোগদান আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
২০১১ সালে উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন সাবিনা ইয়াছমিন। কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা নেই অভিযোগ তুলে ২০১৪ সালে তাঁকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। তদন্তে তাঁর যোগ্যতা আছে প্রমাণিত হলে ২০১৬ সালে তাঁকে বহাল করা হয়। ২০১৯ সালে ফের তিনি পদ থেকে বহিস্কার হন।