শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফের (৩০) বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা রোববার সদর থানায় দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পাকুরিয়া খামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ইউপি সদস্য আরিফ ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। ঘটনাটি মা-বাবাকে জানায় মেয়েটি। এ কারণে আরিফকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন মেয়েটির মা।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার মা-বাবা একটি বিয়ের দাওয়াতে যান। এই সুযোগে তাদের বাড়ি গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন আরিফ। বিয়ের দাওয়াত থেকে ফিরে এলে মা-বাবাকে বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগী।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এলাকায় জানাজানি হলে গোপনে পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ তদন্তে নামে এবং তাদের সহায়তায় শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দেন মেয়েটির মা। পরে রোববার ধর্ষণ মামলা নেয় থানা পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পলাতক ইউপি সদস্য আরিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।