বাবা নিরাপত্তা প্রহরী। ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। দু'জনই নিজেদের অবস্থাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কারবার করত ইয়াবার। এক লাখ পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে চক্রের আরও তিন সদস্যকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলো- আনোয়ারা উপজেলার খোর্দ্দ গহিরা গ্রামের আবদুল মালেক, তার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসান মিয়া, একই উপজেলার ইমরান হোসেন, নগরের দক্ষিণ পতেঙ্গার নিজাম উদ্দিন ও একই এলাকার ওমর ফারুক।
র‌্যাব জানায়, আব্দুল মালেক পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এবং সাগর উপকূলে নোঙর করে রাখা স্পিডবোটের নিরাপত্তা প্রহরী। তার ছেলে হাসান মিয়া। নিরাপত্তা প্রহরীর আড়ালে ইয়াবার কারবার করে মালেক। আর টেকনাফ থেকে ইয়াবা কিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে হাসান। প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে কেউ সন্দেহও করে না। অন্যদের মধ্যে ওমর ফারুক স্পিডবোটের মালিক। তার অনেক স্পিডবোটের মধ্যে একটি ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করা হতো। নিজাম স্পিডবোটের চালক। বর্তমান পেশা পোশাকশ্রমিক হলেও মাঝেমধ্যে ইয়াবা আনার কাজ করে। আর ইমরান তার সহকারী।
র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার জানান, শনিবার ইয়াবার বড় চালান নিয়ে একটি স্পিডবোট পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের দিকে আসছে জানতে পেরে সেখানে অবস্থান নেয় র‌্যাব। পরে ঘাটের কাছেই সাগরে থাকা একটি লাইফ বোটে ইয়াবাগুলো হস্তান্তরের সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।