সন্তানের মতো পরিচর্যা করে বড় করেছিলেন বাগানের কলাগাছ। রাতে বাগানের আট শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। কৃষক হাবিবুর রহমান আজ শুক্রবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখেন- তাঁর সব স্বপ্ন চুরমার। এমন ঘটনা ঘটেছে ঘাটাইল উপজেলার দুলালিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত লখিন্দর ইউনিয়নের দুলালীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ১২ কাঠা জমির কলাগাছ কেটে ফেলেছে। এতে প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর। সংসার চালানোর অবলম্বন হারিয়ে বাকরুদ্ধ তিনি। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, লখিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ মৌজায় ১৪০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন হাবিবুর রহমান। স্থানীয় আবদুর রশিদ গং জমিটি দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জমিটিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন আবদুর রশিদ ও তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন হাবিবুর রহমান। এরপর রাতেই কলাবাগান কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এর আগে ১৬ গত সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে আবদুর রশিদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন হাবিবুর। ক্ষতিগ্রস্ত হাবিবুর রহমান বলেন, 'আমার ধারণা, কলাগাছগুলো আবদুর রশিদের লোকজনই কাটতে পারে। এ ঘটনার পর আবদুর রশিদের পরিবার পলাতক।'

অভিযোগের বিষয়ে আবদুর রশিদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তাঁর ছেলে রমজান আলী আহত হয়েছে। তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করা হয়েছে। তখন থেকেই হাসপাতালে তিনি। কলাগাছ কাটার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও গোলাপ হোসেন জানান, যারাই কলাগাছ কাটার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'