খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘাট দুটি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে নৌকা মাঝি সংঘের নেতারা।

রূপসা ও জেলখানা ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ নদী পার হয়। রূপসা, তেরখাদাসহ আশপাশের জেলা উপজেলার মানুষ এই দুটি ঘাট দিয়ে খুলনা নগরীতে প্রবেশ করে। রাতে ঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় দুই পাশে শত শত মানুষ আটকা পড়েন। পরে দীর্ঘ পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।

পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সব পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ রূপসা ঘাটের ট্রলার ভাড়া বাড়েনি। তাই যাত্রী প্রতি এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘাট পারাপার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি।’

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রূপসায় অবস্থান করছেন। তারা যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ঘাট দুটি বন্ধ করা হয়েছে। ঘাট বন্ধ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠেকানো যাবে না। শুধু শুধু সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, ২০০৫ সালে রূপসা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট দিয়ে ফেরি বন্ধ করা হয়। নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ট্রলার ঘাট বন্ধ হওয়ায় খুলনা নগরীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে জেলখানা ঘাটে একটি ফেরি থাকলেও সেটিসহ ট্রলারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।