ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নান্দাইল উপজেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটারদের ২০ লাখ টাকা দেন প্রার্থী শিরিন সোলায়মান। তাঁর অভিযোগ- ৫ হাজার টাকা করে নিলেও ভোটাররা তাঁকে ভোট দেননি। নির্বাচনে হেরে তিনি এ টাকা ফেরত চাইছেন।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের নাখিরাজ গ্রামের শিরিনের স্বামী সোলায়মান ইউনিয়ন পরিষদ কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। শিরিনও ওই ইউপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচিত সাবেক সদস্য।

গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল উপজেলা নিয়ে গঠিত ৯, ১০ ও ১১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী ছিলেন। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ১৫৯ ভোটারের মধ্যে এ পদে প্রার্থী ছিলেন দুজন। ত্রিশাল উপজেলায় ১৭২ ভোটের মধ্যে প্রার্থী ছিলেন একজন। অন্যদিকে নান্দাইল উপজেলায় সর্বাধিক ১৮৫টি ভোট নিয়ে তিনি ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। এ অবস্থায় শিরিন নিজ উপজেলার চন্ডীপাশা, আচারগাঁও ও চর বেতাগৈর ইউপির কয়েকজন ছাড়া প্রায় সব ভোটারকে (ইউপি সদস্য) খামে ভরে ৫ হাজার করে টাকা দেন। ত্রিশাল উপজেলার ৬ জন এবং ঈশ্বরগঞ্জের ৩২ জনকেও ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। নির্বাচনে তাঁর ২০ লাখ টাকা খরচ হয়। গণনার পর দেখা যায় নান্দাইলের প্রদত্ত ১৮২ ভোটের মধ্যে শিরিন পেয়েছেন ৭৩টি।

শিরিনের স্বামী সোলায়মান সমকালকে জানান, কয়েকজন বাদে উপজেলার সব ইউপি সদস্য ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু টাকা নিয়েও তারা ভোট দেননি। তিনি জানান, নির্বাচনে খরচ হওয়া ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১১ লাখ টাকা এনেছেন সুদে। বাকি টাকার জোগাড় হয় ঘর বিক্রি করে।