- সারাদেশ
- সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আ'লীগের হামলার অভিযোগ
সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আ'লীগের হামলার অভিযোগ

সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা- সমকাল
খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। সমাবেশে যাওয়ার সময় ফুলতলা উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের ট্রলারে হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। এ সময় প্রায় ৩০-৩৫ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নগরীর খালিশপুরের বৈকালী বাজার এলাকা থেকে দৌলতপুরের নতুনরাস্তা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই সড়কে মহড়া দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
এদিকে নিউমার্কেট এলাকাও যুবলীগের একদল কর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তারা মাঝে মাঝে যশোর রোডে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখলে ধাওয়া দিচ্ছেন। এ ছাড়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিল করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে বৈকালী মোড়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালের সামনে খুলনা-দৌলতপুর সড়কে থাকা আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের সভাপতি কাজী এনায়েত আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা। দুপুর ২টার দিকে ওই কার্যালয়ের পাশে থাকা বিএনপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন কে বা কারা। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভান।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনায়েত আলী জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। কাউকে মারধর করা হয়নি। বিএনপির কার্যালয় কারা পুড়িয়েছে তা জানি না।’
নিউমার্কেট এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস সমকালকে বলেন, ‘ওই সময় আমি নিউমার্কেটের ভেতরে ছিলাম। হামলার ব্যাপারে কিছু জানি না।’
ফুলতলা থেকে সমকালের প্রতিনিধি জানান, বাস বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীরা নয়টি ট্রলারে করে খুলনায় রওনা হন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ৫নং ঘাট এলাকায় নৌপথে তাদের ট্রলারে হামলা চালান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য ও ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশার বলেন, ‘সিকিরহাট ও ফুলতলা ঘাটে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা হয়। দিঘলিয়া এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নদীর তীর থেকে আমাদেরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মার্শাল সমকালকে বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১২টায় ৫নং ঘাট এলাকায় কয়েকটি ট্রলারে করে আমাদের ট্রলার ঘিরে ফেলে তারা। পরে রাম দা, রড, লাঠি নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে অর্ধশত নেতাকর্মীকে আহত করেছে। গুরুতর আহত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার, শেখ লুৎফর রহমান, মুজাহিদ শেখ, আবদুল্লাহ, আবদুল মোকাদ্দেস, সুনীল দাস, আবদুল মজিদ, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদাউস মোল্লা, হারুন রেজাসহ ২২ জন জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন