- সারাদেশ
- উন্নয়নকাজ শেষে চট্টগ্রাম শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হবে: জাপান রাষ্ট্রদূত
উন্নয়নকাজ শেষে চট্টগ্রাম শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হবে: জাপান রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ‘মাতারবাড়ী বন্দর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাওয়ার গ্রিড শক্তিশালীকরণসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্প শেষে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম একটি শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম এমন একটি শহর, যা জাপান থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ-এফডিআই আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জাপান আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক বন্ধুত্বের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শনিবার চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরে দুই দেশের সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন ইতো নাওকি।
জাপান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেডে ১০টি কোম্পানি ব্যবসা করছে। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীও প্রস্তুত হচ্ছে। নানা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। জাপান গত ৫০ বছর বাংলাদেশের পাশে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে থাকবে।’
এদিকে এ উপলক্ষে জাপানে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে সিএএএস ও নিপ্পন একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন চট্টগ্রামে জাপানের সাবেক কনস্যুলার জেনারেল মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারায়- শীর্ষক আরেক সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন। বিশেষ নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি এন্ডো (আনন্দ)। দুই সেমিনারই পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সিএএএসের সহসভাপতি ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর।
সিএএএস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এ ইউ এম জোবাইরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইছি গুছি তমোহিদে, এওটিএসের পরামর্শক ড. এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসাইন প্রমুখ। এওটিএস প্রেসিডেন্ট শিনইয়া কুওয়ামা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিএসআরএমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমের আলী হুসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বয়সভিত্তিক দুটি গ্রুপের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীকে গোল্ড মেডেল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ক্রেস্ট এবং সব অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন