চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা করায় চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা শেষে তাঁকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি। সৈয়দ আহমেদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলীর ছোটভাই।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর (নৌকা) পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর (আনারস) পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, সৈয়দ ১৭ বছর ধরে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ী অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সৈয়দ আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়ার খবরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অব্যাহতিকে লোকদেখানো ছেলেখেলা আখ্যায়িত করে কর্ণফুলীতে বহিষ্কৃতদের পুরস্কৃত করার নজির রয়েছে বলে অভিমত দেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  সৈয়দ আহমদ বলেন, আমি আত্মীয় স্বজনের চাপে নির্বাচনে বড়ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছি। নির্বাচনে অনেক নেতা আমার ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছেন। এ রকম বহিষ্কার বিভিন্নজন হয়েছেন। আবার বহিষ্কৃতদের পুরস্কৃত করাও হয়েছে। পদ না থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে কোথাও যাবেন না বলে জানান।