বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় কারাগারে থাকা চাঁদপুরের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন। কারাগারে থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে আইন অনুযায়ী আরও আগেই তাঁর বরখাস্ত হওয়ার কথা।

চেয়ারম্যান পদে তাঁর বহাল থাকায় বিস্মিত স্থানীয় লোকজন। তাঁরা মনে করছেন, প্রভাবশালী চক্র নানামুখী তদবিরের মাধ্যমে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতাকে এখনও স্বপদে বহাল রেখেছেন। স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, তাঁর স্বপদে থেকে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থি।

সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গত ১৬ অক্টোবর চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। চাঁদপুর সদর উপজেলার ইউএনওর ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, সেলিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার আইনের (৩৪)১ ধারা অনুসারে তাঁর চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্টদের মধ্যে ফাইল চালাচালি হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান বলেন, নথিটি চলমান আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত জানানোর আগে কিছু বলতে পারছি না।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে ৩৫৯ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টাসহ বহু বছর ধরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুর ব্যবসা করেছেন সেলিম। এ বিষয়ে তদন্তে নেমে দুদক তাঁর অঢেল অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়ে মামলা করেছে। দুদকের মামলায় গত ১২ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।