- সারাদেশ
- রংতুলিতে সমাজ বদলের গল্প
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রংতুলিতে সমাজ বদলের গল্প

ফাইল ছবি
ডাক হরকরার চিঠি বিতরণ এখন অনেক পুরোনো গল্প। এই যুগে তথ্য পাওয়া যায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোতে। অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগ করা যায়। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ উন্নয়নে মানুষের জড়তাও যেন বেড়েছে। অনেকের চোখ ছোট্ট একটি ডিভাইসে আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে বিশেষ করে ক্ষতি হচ্ছে শিশু-কিশোরদের। এদিকে পুঁজিবাদী শক্তি সবকিছু যেন লুটেপুটে খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর রংতুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শুরু হয়। আজ তা শেষ হবে। প্রদর্শনীতে ১৯৫ শিল্পীর ৩৪৫টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। শিল্পকলা প্রদর্শনীতে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং, ভাস্কর্য, ব্যাসিক কোর্স- এই চার ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রদর্শনী শেষে চার ক্যাটাগরিতে ১৪টি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
প্রদর্শনীতে শিল্পীরা রংতুলিতে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের পরিবর্তনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, দলবদ্ধ ইঁদুর খাবার খাচ্ছে। এতে সমাজের দূর্নীতিবাজদের চিত্রায়িত করা হয়েছে। আরেক ছবিতে বাউল লালনের একতারার দিকে কালো হাত বাড়িয়ে দিয়ে যেন দেশীয় সংস্কৃতিতে কালো থাবাকেই শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁদের চিত্রকর্মে গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন ও যান্ত্রিক নগরজীবন ফুটে উঠেছে। প্রদর্শনীতে ভবনের ভাঙা খুঁটির ভাস্কর্যে দেখানো হয়েছে সংস্কৃতির দৈন্যদশা, সাম্প্রদায়িকতা আর জাতিগত বিভক্তি। উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুর্ভোগের চিত্রও।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন গৌরবের বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।
মন্তব্য করুন