পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আট বছর পর আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা তাঁদের মূল্যায়ন চান।

শনিবার উপজেলার ৩ নম্বর চরদুয়ানী ইউনিয়নের একটি কমিটি ঘোষণার পর ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মূল্যায়নের দাবি জানান।
দলীয় পদ পেতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিজেকে জানান দিতে পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহর-গ্রামের হাট-বাজারগুলো। পাথরঘাটা সরকারি কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টার দিকে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজ জানান, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর চরদুয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল এ কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। এ মেয়াদে তিনি আগামী ২৩ দিনের জন্য ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যাঁরা মূল কমিটিতে পদ নিয়ে কোনো দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেন না, তাঁদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারিদের দলে পদ দিয়ে মূল্যায়ন করার দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, পাথরঘাটায় দুই এমপির গ্রুপিং রাজনীতির কারণে দলের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী বিভক্ত হয়ে গেছে। যাঁরা পুরোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, তাঁরা কোনো এমপির ব্যানারে না গিয়ে মনের কষ্ট নিয়ে দল থেকে একটু দূরে সরে আছেন। তাঁদের সবাইকে একত্র করে দু'জন এমপির সমন্বয়ের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সুন্দর কমিটি উপহার দেবেন বলে তিনি আশা করেন।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান জুয়েল জানান, যাঁরা ত্যাগী নেতা, তাঁদের সমন্বয়ের মাধ্যমে সুন্দর একটি কমিটি চান। যাঁরা ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবেন, তাঁদের এই মুহূর্তে দলের বিশেষভাবে দরকার। তিনি বলেন, ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন দলের নেতাকর্মীর মধ্যে আস্থা অর্জনে কাজ করছেন। সভাপতি পদে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাঁরা হলেন- বর্তমান সভাপতি আলমগীর হোসেন (দুদু), মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, সিদ্দিকুর রহমান ও কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান জুয়েল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও আকন মো. শহিদ।