কৃষকের মরদেহ মিলল মাঠে, পরিবারের দাবি হত্যা

মেহেরপুরের গাংনীতে জনির উদ্দীন জগত (৫৭) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামের মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জনির উদ্দীন জগত ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের কমেদ আলীর ছেলে

জনির উদ্দীনের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান,আমতৈল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে গাফফার আলী ও তার বোন রেশমা খাতুনের কাছ থেকে প্রায় ২০ শতক জমি কেনেন তার স্বামী । কিন্তু ওই জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তারা গড়িমসি করতে থাকে। এমনকী জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে গাফফার আলী হত্যার হুমকি দেয় তার স্বামীকে। জমির বিরোধে প্রতিপক্ষরা তার স্বামীকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

জনির উদ্দীনের ছেলে লিটন জানান,তার বাবা ভোরে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তার মরদেহ হেমায়েতপুর মাঠে পাওয়া যায়। চাচাতো ভাই আব্দুর রহমানের ছেলে গাফফারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বিরোধ চলে আসছিলো। জমিজমা বিরোধের কারণেই তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেন।

জনির উদ্দীন জগতের প্রতিবেশিরা জানান,জমিজমা সংক্রান্ত ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো দুটি পরিবারের মধ্যে। গত কয়েক মাস আগেও এই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। জনির উদ্দীন জগত এলাকায় কৃষি কাজের পাশপাশি (জমি মাপা) সার্ভেয়ারের কাজও করতেন।

এ বিষয়ে গাফফার আলীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

গাংনী থানার ওসি মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেন,জনির উদ্দীন নামের এক কৃষকের মরদেহ হেমায়েতপুর মাঠে পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের  অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।