সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি শিপন শেখ এখনও অধরা। আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।

তাড়াশের সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ ঈশরপুর গ্রামের মৃত রশিদ ফকিরের ছেলে শিপন পেশায় একজন মাদক ব্যবসায়ী। শিপনের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে মাদকদ্রব্য আইনের এক মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান কোর্ট ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল।

এ মামলায় শনিবার বিকেলে ধামাইচহাট থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করে তাড়াশ থানা পুলিশ। কিন্তু থানায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টার দিকে সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ বাজার খেয়াঘাটের পাশে থেকে শিপন পালিয়ে যায়।

প্রকাশ্যে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শতাধিক প্রতক্ষ্যদর্শী দেখলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন তাড়াশ থানার পুলিশ। এ নিয়ে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও তাড়াশে পুলিশের হাত থেকে দুজন আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর চৌহালী থানা পুলিশের হাত থেকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আটাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ পালিয়ে যান। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যমুনায় ইলিশ ধরায় ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বাছেদ সিরাজগঞ্জ আসার পথে নৌকা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে তাড়াশ-উল্লাপাড়ার সার্কেলের অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার একটি তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম রোববার সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, চৌহালীর ঘটনার কিছুদিন পর বাছেদকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে তাড়াশের শিপনকে এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাড়াশের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। খুব শিগগিরই দু’টি ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।