- সারাদেশ
- স্বাস্থ্য সহকারীর যত অনিয়ম
স্বাস্থ্য সহকারীর যত অনিয়ম

ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মল্লিকপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সুলেমান আহমদ। কিন্তু ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে নাগরিক সনদ নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি বাগিয়ে নেন। এরই মধ্যে চাকরিজীবনের ১৮ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, হাসপাতালে সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার সুলেমান। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ জমা হলেও বরাবরই পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সুলেমানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া নাগরিক সনদ নিয়ে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ২০০৪ সালে যোগদান করেন সুলেমান। বিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে তাঁকে সদর হাসপাতালে স্টোরকিপার পদে পদায়িত করা হয়। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে জেলা সদর হাসপাতালে স্টোরের দায়িত্ব পান সুলেমান। হাসপাতালের রোগীর খাবার সরবরাহ, এমএসআর, যন্ত্রপাতি ও আসবাব কেনাবেচার ঠিকাদারে পরিণত হন তিনি।
হাসপাতালের আউটসোর্সিং ক্ষেত্রেও লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সুলেমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলা সদর হাসপাতালে আহ্বানকৃত এমএসআর, পণ্য সরবরাহে দুর্নীতি, লুটপাট ও সিন্ডিকেট করে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ
হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় ঠিকাদাররা একটি অভিযোগপত্র গত ২১ জুলাই জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুলেমান বলেন, 'আমি পরিবারসহ সবাই ছৈলা আফজালাবাদ ইউপির বাসিন্দা ও ভোটার। অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনগুলোও আমার পক্ষে রয়েছে।'
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন আহমদ হোসেইন বলেন, এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
মন্তব্য করুন