- সারাদেশ
- বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

মাহমুদা নাহার মিতু (২৫) রাজধানী ঢাকায় পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তার বাবার বাড়ি জামালপুর এবং স্বামীর বাড়ি আশুলিয়ার নলাম গ্রামে। তিনি দুই মাস ধরে তার নানা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের গ্রামে বাস্তায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে মাহমুদা উপজেলার বাস্তা এলাকায় নানা আবুল বাশার খানের বাড়িতে থাকতেন। প্রায় চার বছর আগে সাভারের আশুলিয়া থানাধীন নলাম এলাকার মো. শাজাহানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বাস্তা এলাকায় আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তির একতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকতেন এই নিঃসস্তান দম্পতি। মানিকগঞ্জ থেকেই মাহমুদ ঢাকায় কর্মস্থলে যাতায়াত করতেন।
শনিবার রাতে মাহমুদা ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় বাসার অন্যান্য লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ওই বাসার কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে খাটের ওপর থেকে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ধলতা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হামিদ জানান, তার ভাই আবু হানিফের বাসার একটি কক্ষে ভাড়া নিয়ে ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল থাকতেন। দুই মাস আগে তিনি বাসা ভাড়া নেন। সেখান থেকেই ঢাকায় অফিস করতেন। তার স্বামী মাঝেমধ্যে বাসায় আসতেন।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাজাহান বাসায় আসেন। এ সময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাহমুদাকে তার স্বামী মারধর করেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, নারী কনস্টেবলের মরদেহের পাশে দানাদার কীটনাশক (ফুরাড়ান) ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ওই নারী কনস্টেবল কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন