সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে উড়োজাহাজে ওঠার আগে সরোয়ার হোসেনকে প্যান্ট ও অন্তর্বাস পরিয়ে দেওয়া হয়। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নামার পর সেগুলো পুড়িয়ে ৫২৯ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়।

আজ রোববার ওসমানী বিমানবন্দরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, এ ঘটনায় সরোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে। তবে বিমানবন্দরে সরোয়ারের বিভিন্ন সামগ্রী ও পরনের পোশাক পরীক্ষা করেও কিছু না পাওয়ায় স্ক্যানিংয়ে সমস্যা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) মমিনুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ বিমানের (বিজি-২০২) সরাসরি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন সরোয়ার। প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে অবৈধভাবে আনা ২৩৪ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণের বার এবং ১০০ গ্রাম ওজনের অলংকার জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সরোয়ার স্বীকার করেন, আবুধাবিতে উড়োজাহাজে ওঠার আগে তাঁকে পেস্ট করা কাপড় পরিয়ে দেওয়া হয়।

পরে রাতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেগুলো পোড়ানো হয়। পুড়িয়ে পাওয়া যায় ৫২৯ গ্রাম স্বর্ণ। এ ঘটনায় বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাদী হয়ে সরোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কাস্টমসের এই ডিসি।