স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন রায়হান হোসেন (২২) নামে এক যুবক। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধ রায়হান যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দায়তলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। এদিকে রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। 

উদ্ধারকারী গ্রামবাসী আনোয়ার হোসেন জানান, রায়হানের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার সঙ্গে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি জড়িত। 

রায়হানের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, রায়হানের স্ত্রী রাবেয়া (১৯) গত ৫-৭ দিন আগে বাপের বাড়ি জোহরপুরের মাথাভাঙা গ্রামে যান। এর মধ্যে ছেলে বা ছেলে বউয়ের মধ্যে কোনো গন্ডগোল হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে রোববার সন্ধ্যায় রায়হান তার স্ত্রীকে শশুরবাড়ি থেকে আনতে গেলে তার স্ত্রীসহ শশুরবাড়ির লোকজন গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। 

এদিকে স্থানীয় কয়েকজন জানান, রায়হান পেশায় টাইলস্ মিস্ত্রী। তিনি প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। হয়তো তার স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়।

যশোর জেনারের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস্ বলেন, অগ্নিদগ্ধ রায়হানের শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘারপাড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।