ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চট্টগ্রামে বড় ধরনের ক্ষতি না করলেও দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মোকাম চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। খাতুনগঞ্জে প্রায়ই জোয়ারের পানিও উঠছে। এতে মজুদ করা পণ্যের একটি বড় অংশই নষ্ট হচ্ছে। তাই সিত্রাং ও জোয়ারের পানিতে খাতুনগঞ্জে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিতে সভাটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন। এ সময় সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের অনেক বড় ক্ষতি করেছে। এর প্রভাবে বাজারের প্রতিটি দোকানে পানি ঢুকে গুদামজাত করে রাখা পণ্যের একটি বড় অংশই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে রোদে শুকিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অনেকদিন ধরে বাজারে এমনিতেই নেই বেচাবিক্রি। এতে আমদানি করা পণ্যের একটি বড় অংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া খাতুনগঞ্জে এখন প্রায়ই জোয়ারের পানি উঠছে। বিষয়টি চিন্তার। তাই সিত্রাং ও জোয়ারের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির আসল চিত্র তুলে ধরতে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দুইদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনসহ খাতুনগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।