ওয়ারিশ সনদ দিতে ঘাটাইলের সাগরদিঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে হাতীমারা গ্রামের ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান গত রোববার ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উৎকোচ গ্রহণ করে বৈধ উত্তরাধিকারীদের বাদ দিয়ে চাহিদামতো ওয়ারিশ সনদ দিয়ে থাকেন সাগরদিঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার। এতে বৈধ উত্তরাধিকারীরা জমির খাজনা-খারিজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন। ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে চেয়ারম্যান ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সনদ মেলে না। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমানের বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি খারিজ করার জন্য ওয়ারিশ সনদের জন্য তিন মাসে অনেকবার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছেন, কিন্তু সনদ মেলেনি। সনদের জন্য সংশ্নিষ্ট ইউপি সদস্য একাধিকবার সুপারিশ করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

ইউপি সদস্য মোকাম্মেল হোসেন জানান, জিয়াউর রহমানের পরিবারের সব সদস্যকে শনাক্ত করে কাগজপত্র সত্যায়িত করে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছেন এবং সুপারিশ করেছেন। তবুও চেয়ারম্যান সনদ দিচ্ছেন না।

ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, ওয়ারিশ সনদ দেওয়া বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হয় না।

ঘাটাইলের ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হুসেইন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয় : ওয়ারিশ সনদ সাগরদিঘি ইউনিয়ন

মন্তব্য করুন