বরিশাল বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এ সময় বহরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন। পথে পথে ব্যাপক বাধার শিকার হন। একসময়, গাড়িবহরটি বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে সেখানে হামলা করা হয়। এতে ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাঙচুর করা হয় তাঁর পেছনে থাকা তারই বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সেসব গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

বরিশালের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে শনিবার বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা হয়। ছবি: সমকাল

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করছে, কাপুরুষের মতো রাতের আধারে গাড়িবহরে চোরাগুপ্তা হামলা করে পালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের মনে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা দমে যাবার পাত্র নই। সব বাধা মোকাবিলা করে ঠিকই সমাবেশস্থলে এগিয়ে যাচ্ছি। যত হামলাই করুক না কেন, কোনো বাধাই এবার বিএনপি নেতাকর্মীদের দমাতে পারবে না।’

বরিশালের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে শনিবার বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা হয়। ছবি: সমকাল

হামলায় আহতেরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, রকি, মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন প্রমুখ।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’