বগুড়ায় স্কুলছাত্র রবিউল ইসলাম (১৭) হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

শনিবার দুপুর আড়াউটার দিকে শহরের গোদাড়পাড়া বাজারে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ অবরোধ শুরু হয়।

এ সময় রবিউলকে হত্যার অভিযোগে পারভেজ নামে এক যুবকের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়। অবরোধ চলাকালে আঞ্চলিক এই মহাসড়কের দু'পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানযটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী বিকেল ৪টার দিকে অবোরধ তুলে নেয়।

নিহত রবিউল উত্তর গোদারপাড়া এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে ও টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার বগুড়া নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের উত্তর গোদারপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা রবিউলকে ছুরিকাঘাত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহত রবিউলের বাবা নওশাদী আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় স্থানীয় যুবক পারভেজসহ দু'জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিউলের বন্ধু পাপ্পু মিয়া জানান, গতকাল রাতে আমি ও রবিউল খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ভুলবশত পারভেজের সঙ্গে রবিউলের ধাক্কা লাগে। এ জন্য হুট করে পারভেজ চাকু নিয়ে রবিউলকে আঘাত করতে শুরু করে। আমাকে মারতে আসলে আমি দৌড়ে আত্মরক্ষা করি।

স্থানীয়রা জানান, পারভেজ এলাকায় আগে থেকেই বখাটে হিসেবে পরিচিত। এর আগেও সে নানা অপকর্ম ঘটিয়েছে। প্রতিবারই সে প্রভাবশালী কোনো মহল বা অন্য কোনো মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছে। 

রবিউলের বাবা নওশাদ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে কখনও কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়ায়নি। তাকে কারণ ছাড়া খুন করা হলো। আমি জড়িতদের বিচার চাই। আর যেনো কোনো বাবার বুক খালি না হয়।’

বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সুজন মিঞা জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে রবিউলের লাশ নিয়ে নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। এ সময় আমরা তাদের আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।