- সারাদেশ
- আগের রাতে নিয়োগ পরীক্ষার চিঠি, অংশ নিতে পারেননি ৭ প্রার্থী
আগের রাতে নিয়োগ পরীক্ষার চিঠি, অংশ নিতে পারেননি ৭ প্রার্থী

বাউসা আরএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ফাইল ছবি
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাউসা আরএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীসহ তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা ছিল ৪ নভেম্বর। কিন্তু পরীক্ষার চিঠি পৌঁছে ৩ নভেম্বর রাতে। ফলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি সাত চাকরিপ্রত্যাশী।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা প্রার্থীদের অভিযোগ, চাকরি পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে চিঠি পাঠানোর কথা। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতির যোগসাজশে নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজেদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে এসব করা হয় বলে দাবি তাঁদের।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলের অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তিনটি পদের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে অফিস সহকারী ১০ জন আর পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ছয়জন। সাতজন হাজির হতে না পারায় ৯ জনকে নিয়ে যশোর শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই তিনটি পদে ২৪ লাখ টাকা বাণিজ্য করে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহাবুর রহমান। এর মধ্যে অফিস সহকারী পদে ১০ লাখ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ৭ লাখ করে ১৪ লাখ টাকা নেওয়া হয়।
তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক বলেন, ১ নভেম্বর চিঠি ইস্যু হলেও দপ্তরি চিঠি পাঠাতে দেরি করেছেন। এখানে কোনো বাণিজ্য হয়নি। স্কুল কমিটির সভাপতি মাহাবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অফিস সহকারী পদে চাকরির আবেদনকারী ইলিয়াস আহেমদের দাবি, পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দু'দিন আলাদাভাবে পছন্দের প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং করেছেন।
এই বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আজম বলেন, পরীক্ষার আগের রাতে চিঠি দেওয়া নিয়মবহির্ভূত। কেউ অভিযোগ দেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন