নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডোবা থেকে পাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী। লাশটি অটো রিকশাচালক মোহাম্মদ হাসানের (৩৫)। শনিবার দুপুরে স্বামীর সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে থানায় এসেছিলেন স্ত্রী সীমা হাসান। পরে তাঁকে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হলে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক দীপু বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লার পিলকুনি-নন্দলালপুর সড়কের মোল্লাবাড়ি মসজিদের সামনের ডোবা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোহাম্মদ হাসান কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাহেরমাঝি গ্রামের আবু সামার ছেলে। তিনি কাশীপুর বাঁশমুলি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।

ওসি আরও জানান, দুই দিন ধরে স্বামী নিখোঁজ থাকায় শনিবার থানায় জিডি করতে আসেন স্ত্রী সীমা হাসান। তাঁকে ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় লাশের ছবি দেখালে সেটি স্বামী হাসানের বলে শনাক্ত করেন। পরে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ দেখেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে সীমা হাসান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে হাসান-সীমা দম্পতির। সীমা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হন তাঁর স্বামী। পরে কাশীপুর বাঁশমুলি এলাকার মনিরের গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। মরদেহ স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।