২৬ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে রৌমারী উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবনে ভাড়া না দিয়ে বছরের পর বছর বসবাসের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া না দেওয়ায় বকেয়া পড়েছে সরকারের ১২ লাখ ৯ হাজার টাকা। ভাড়া উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটছে কারও কারও অভিমত।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সরকারি ফ্যামিলি কোয়ার্টার ও ডরমেটরির কয়েকটি বাসায় বসবাস করে আসছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ৮ বছরে (২০১৫-২২ সাল) তাঁদের ভাড়া বকেয়া ১২

লাখ ৯ হাজার টাকা। তাঁদের কেউ কেউ বাসা ভাড়া না দিয়ে বদলি হয়ে চলে গেছেন। বকেয়ার বিষয়টি গড়ায় উপজেলা সমন্বয় সভায়। এ নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অভিযোগ তোলেন উপজেলা বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৩ মে বকেয়া বাসা ভাড়া আদায়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেন প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন। এতে বলা হয়েছে, বকেয়া বাসা ভাড়া আদায়ের জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে ভিন্ন ভিন্ন স্মারকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে চিঠি দেওয়া হয়। এতে তাঁরা সাড়া না দিলে তাঁদের দপ্তর প্রধানকে ভাড়া আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। তাতেও ভাড়া আদায় না হওয়ায় বেতন-ভাতা থেকে ভাড়ার টাকা কেটে রাখার জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়।

২০১৫ সাল থেকে রৌমারী উপজেলা পরিষদের ফ্যামিলি কোয়ার্টারের ৭ (গ) এ ভাড়া থাকেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। ৮ বছরে তাঁর বাসা ভাড়া বকেয়া পড়েছে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ বিষয়ে বাবুল আক্তার বলেন, 'ভাড়া আদায়ের দায়িত্ববানরা আমাদের কাছে নিয়মিত ভাড়া না নেওয়ায় এমন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমার টাকা পরিশোধ করেছি।'

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহিদ বিন হকের দাবি, অনলাইনে বেতন-ভাতা হওয়ায় হিসাবরক্ষণ অফিস বকেয়া বাসা ভাড়া কেটে রাখতে পারেন না। তাই বাসা ভাড়ার টাকা কেটে রেখে সংশ্নিষ্ট অফিস প্রধান কর্মচারীদের বেতন ছাড় দিলে এ সমস্যা হবে না।

রৌমারী উপজেলা বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন বলেন, ভাড়া আদায়ে প্রত্যেক কর্মচারী ও অফিস প্রধানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আদায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।