জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক ডা. মির্জা কাউসার (২৮) বর্তমানে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের খারমপট্টি এলাকার ডা. কাউসারের মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে থেকে তাকে একটি কালো মাইক্রোতে করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যান।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আনম নৌশাদ খান জানিয়েছেন, ডা. কাউসার তার কলেজ থেকেই ২০১৯ সালে পাশ করে ফার্মাকোলজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি শহরের খরমপট্টি এলাকায় এক আইনজীবীর বাসায় ভাড়া থাকেন। ডা.কাউসার ছাত্র জীবন থেকেই তাবলিগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যে কারণে ডা. কাউসারের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তিনি কখনও সন্দেহ করেননি। ডা. কাউসারদের উজানচর গ্রামের বাড়িটি বিএনপির বাড়ি হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত বলেও জানান অধ্যক্ষ।

সোমবার ডা. কাউসারদের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার চাচাত ভাই মির্জা খোকনের সাথে। তিনি জানান, কাউসার শৈশব থেকেই বেশ ধার্মিক। এখন যদি কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তার ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। কাউসার কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানীর উত্তরা রাজউক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে সেখানেই প্রভাষক হিসেবে চাকরি নেন। তার বাবা আব্দুল হেকিম মির্জা সৌদি আরব থাকতেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে হাওরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করতেন।

মির্জা খোকন আরও জানান, কাউসারের বাবা আব্দুল হেকিম ছেলের খোঁজে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে গেছেন। মির্জা খোকন জানান, ডা. কাউসারের স্ত্রীও একজন ডাক্তার। তাদের একটি ছোট্ট কন্যা সন্তান রয়েছে।

কটিয়াদী থানার ওসি হানান, ডা. কাউসারকে মাইক্রোতে করে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সদর থানায় কোন লিখিত অভিযোগ, জিডি বা মামলা করা হয়নি।