বাবা মোখলেছুর রহমানের মোটরসাইকেলের পেছন বসে বাড়ি ফিরছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল আহমেদ। দ্রুতগামী একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দেয় তাদের। ঘটনাস্থলেই মারা যান মোখলেছুর। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় ফয়সালের।

গাজীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় পিতা-পুত্রের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দু'দিন পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে জৈনাবাজার এলাকার ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা 'বাঁচার মতো বাঁচতে চাই/নিরাপদ সড়ক চাই', 'আমার ভাইয়ের রক্ত/বৃথা যেতে দেব না'- এমন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভে ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল বিভিন্ন দাবি-সংবলিত পোস্টার ও ফেস্টুন।

তেলিহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের দাবি যৌক্তিক। জৈনাবাজারের ইউটার্নে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে গতিরোধক জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন।

ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন।