- সারাদেশ
- ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা বাধ্যতামূলক
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা বাধ্যতামূলক

প্রতীকী ছবি
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের সাতটি তথ্য সম্বলিত হলফনামা দাখিল করতে হবে- হাইকোর্টের এক রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এক রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেন। রায়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুল আজমের প্রার্থিতাও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ও আইনজীবী মো. জাহেদ উল আনোয়ার।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অন্যান্য নির্বাচনে নমিনেশন পেপারের সঙ্গে সাতটি তথ্য সম্বলিত হলফনামা দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হলফনামার বিধান রাখা হয়নি। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৬(৩) এ হলফনামা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছিল। যা ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিতে পরে বাদ দেওয়া হয়। সেখানে শুধুমাত্র প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হলফনামা দেওয়ার কথা নেই।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু বিধিমালার ওপরে আইন প্রাধান্য পাবে সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের হলফনামা দাখিল করতে হবে। এরপর থেকে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাদা ফরমে হলফনামার তথ্য দাখিল করতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও রায়ে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ বিবরণী, ফৌজদারি মামলার তথ্য, ঋণ খেলাপী আছে কিনা এমন সব তথ্য দেওয়ার বিধান রয়েছে। ইউপি নির্বাচনেও প্রার্থীদের এমন তথ্য বিধান রাখা হয়েছিল, যা ২০১০ সালে বিধিতে বাদ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী আপিল দায়ের করেন। আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি ওই ইউপি নির্বাচনের গেজেট জারিও স্থগিত করা হয়। এরপর আপিল বিভাগ গত ৬ মার্চ রুলটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করুন