কৃষক জমির উদ্দিন নিজের জমি চাষের জন্য বসিয়েছিলেন সেচ পাম্প। কিন্তু চোরচক্রের থাবা বসে তাঁর পাম্পে। এতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে সেচনির্ভর এই কৃষকের কপালে। শুধু জমির উদ্দিন নন, তাঁর এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনের সেচ পাম্প চুরি হয়েছে। এমন ঘটনা ময়মনসিংহ সদরের। এ ঘটনায় কৃষকের মধ্যে উদ্বেগ শুরু হলে পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই যুবক। উদ্ধার করা হয়েছে ২১টি পাম্প। পরে বুধবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া চরাঞ্চলটি কৃষিনির্ভর। কৃষিনির্ভর এলাকার সেচ পাম্পের মোটরে থাবা বসাতে শুরু করে চোরচক্র। চোরদলের সদস্য দীর্ঘদিন ধরে সেচ পাম্প চুরি করে আসছিল। এ নিয়ে কৃষকদের উদ্বেগের মধ্যে এলাকায় বিট পুলিশিং সভা করা হয়।

কৃষক জমির উদ্দিনের বাড়ি চর ঈশ্বরদিয়া নামাপাড়া গ্রামে। তিনি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা ঠুকে দেন। গত ১০ নভেম্বর তাঁর সেচ পাম্পটি চুরি হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন। এ মামলায় সদর উপজেলার জয়বাংলা বাজার এলাকা থেকে ভবানীপুর গ্রামের মো. সাব্বিরকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদে আজহারুল ইসলামের বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ। পরে আজহারুলকে তারাকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে তার প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্টারপ্রাইজ থেকে চোরাই ২১টি পুরোনো সেচ পাম্প উদ্ধার করা হয়।

কেবল জমির উদ্দিনের সেচ পাম্প নয়, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম আপেল, মঞ্জুরুল হক, সাইদুল ইসলাম, মিয়াজ উদ্দিনের সেচ পাম্পও চুরি যায়। পরে পুলিশের কাছে নালিশ করেন তাঁরা।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ জানান, চুরি ঠেকাতে এলাকায় বিট পুলিশিং সভা করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও পাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। চোরচক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।