নাশকতা, ভাংচুর ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির ১০৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো অনেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই মামলায় তিনজন ইউপি সদস্যসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সিদ্দীক মেম্বার (৪১) ও দ্বীপক ভূইয়া (৪৫), বাহ্রা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ডিপটি মেম্বার (৫০), এমএ রশিদ (৬৫), আশরাফ আলী ভুলু (৪৫), আছলাম (৪৫), রিপন (৩৯)। এদের মধ্যে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ২জন সদস্য ও বাহ্রা ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য রয়েছেন। তারা বর্তমান জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নবাবগঞ্জ থানা ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নয়ন নামে এক বিএনপির কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার রাতে উপজেলার কলাকোপায় হাড়ভাঙ্গা ব্রিজের ঢালে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, নাশকতা, ভাংচুর ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নাশকতা আইনে মামলা দিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।