রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে গণসংলাপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ একাডেমিক ভবনের সামনে এ সংলাপের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন। এতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশিষ্টজন মতামত দেন।

সংলাপে রাবির আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেছেন, পোষ্য কোটা রাখার মধ্য দিয়ে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এই সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীকালে নানা অনৈতিক উপায়ে শিক্ষকের আসনে বসেন। এতে যেমন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্নগামী হচ্ছে, তেমনি মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
ইতিহাস গবেষক মাহবুব সিদ্দীকী বলেন, যেখানে কোটাই থাকতে পারে না, সেখানে আবার পোষ্য কোটা? তার মানে অনৈতিক সুযোগ নেওয়ার জন্যই কিছু গোষ্ঠী এসব করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল কাদেরী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কোটার প্রশ্নটা খুবই বিস্ময়কর। আমরা এমন দেশ চাইনি, যেখানে নিয়ম করে অযোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হয়।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, যাঁরা পোষ্য কোটার সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের অযোগ্য সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্নভাবে তাঁরাই বিভাগ-অনুষদে প্রথম হচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন এবং সব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। এটি পুরোপুরি অযৌক্তিক ও অনৈতিক প্রক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক রাবেয়া মুহিবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন শাখা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান প্রমুখ।