ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা। 

শনিবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদীবন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরের অশ্বিনী কুমার  হলের সামনে বিক্ষোভ করে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে নৌবন্দরে যায়। পরে সেখানে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। 

দাবি আদায় না হলে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদারসহ অন্যরা।

সমাবেশে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, সরকার ও নৌযান মালিকরা ২০১৬ সালে সর্বশেষ এ খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন। এরপর কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য ও ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছেন যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকেরা। সরকার ও মালিকপক্ষ এতে কর্ণপাত না করায় এখন বড় আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন তাঁরা।

এ সময় বক্তারা তাদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাঁদের দাবিগুলো হলো নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্যভাতা ও সমুদ্রভাতার মতো সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটার জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।