- সারাদেশ
- লক্ষ্মীপুরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সদর থানার ওসি মোসলেউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এ এস আই মো. আনিসুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিসুজ্জামান মামলাটি করেন। এতে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যরা হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুর রহিম রাজন, আবদুল আজিজ মিশু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আবুল বারাকাত সৌরভ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হাছিবুর রহমান অভি, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, ছাত্রদল নেতা বায়েজীদ ভূঁইয়া, কাউছার আহমেদ ও রানা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তরা শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও বাজারে মানুষজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এসময় তাদের কোনো কর্মসূচি থাকলে সেখানে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। মানুষজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তা মানতে নারাজ ছিল। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এতে মামলার বাদী আনিসুজ্জামান, কনস্টেবল শফিক উল্যা ও জিসান আহমেদ আহত হয়। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় চক বাজার এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে আসছিল। শহরের ব্রিজ পার হলেই পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি নেতাকর্মীদেরকে লাথি-কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। তাদের মারধরে নেতাকর্মীরা সড়কে পড়ে আহত হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তাদের লাথি, কিল-ঘুষি-থাপ্পড়ে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়িনি। হয়রানি করার জন্য পুলিশ মামলা দিয়েছে। মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন