কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্রের হাতে জিম্মি একটি পরিবার ভয়ে ঘরে থাকতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারপ্রধানের দাবি, স্কুলপড়ুয়া ছেলেসহ পরিবার নিয়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। থানায় গিয়েও প্রতিকার মিলছে না। উল্টো পুলিশের আশকারায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার না পেলে পরিবার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী বনি আলম। তিনি উখিয়ার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকার বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি।
বনি আলম বলেন, ইনানী রয়েল টিউলিপের পাশে মেরিনড্রাইভ সড়কের কাছে তাঁর একখণ্ড জমি রয়েছে। সেখানে তাঁর দোকান (রেস্টুরেন্ট), বাড়ি ও পুকুর রয়েছে। তাতে নজর পড়েছে স্থানীয় চিহ্নিত দখলবাজ চক্রের। তারা গত ২ নভেম্বর তাঁর বাড়ি এবং দোকানে ডাকাতি করে। এ সময় তারা মুহুর্মুহু গুলি করে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোপায়। গুলিবিদ্ধ হয় তাঁর মেয়েসহ কয়েকজন। প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর এক বছরের নাতিও নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি।
এ সময় তিনি বাড়ি থেকে ১০০-২০০ গজ দূরে পুলিশ ফাঁড়িতে এবং থানায় ফোন দেন। ৯৯৯ নম্বরেও ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু যথাসময়ে কেউ আসেননি। চিহ্নিত ডাকাতরা সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে মামলা দিতেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে কক্সবাজার আদালতের শরণাপন্ন হলে পুলিশ মামলা নেয়। এর আগে প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ তৈয়বকে ডেকে নিয়ে তারও মামলা নেয় পুলিশ।

বনি আলম জানান, র‌্যাব সদস্যরা তাঁর মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় দিলে পুলিশ তাদের চালান করে দেয়। আসামি মোজাম্মেল এরই মধ্যে জামিনে বেরিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী সমকালকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা আছে। পুলিশ ফৌজদারি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তবে জমি দখল-বেদখলে পুলিশ কাজ করতে পারে না।