- সারাদেশ
- হিমাগারবিহীন মর্গে ২ দিন পড়ে ছিল কিশোরের লাশ
হিমাগারবিহীন মর্গে ২ দিন পড়ে ছিল কিশোরের লাশ

প্রতীকী ছবি
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঢাকার একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করায় মর্গে নেওয়ার দু'দিন পর এক কিশোরের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মর্গে হিমাগার না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে কিশোরের পরিবার। চা পাতা দিয়ে লাশটির দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ বলছে, চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় যথাসময়ে লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।
জেলার বাহুবল উপজেলার মুখকান্দি গ্রামের কামরান আখঞ্জী (১৪) গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে মরদেহ যাতে গলে-পচে না যায়, সে জন্য চা পাতা ও বরফ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা হয়। নিহত কিশোর মুখকান্দি গ্রামের আবদুল হাই আখঞ্জীর ছেলে। সে স্থানীয় চলিতাতলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
চিকিৎসকরা জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলন থাকায় কিশোরের ময়নাতদন্ত করা যায়নি। আবার পুলিশও সুরতহাল দেয়নি। তবে বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, তাঁরা মরদেহের সঙ্গেই সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার দিন থেকে একজন পুলিশ সদস্য মর্গে ছিলেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, ২৫ থেকে ২৭ জন চিকিৎসক স্বাচিপ সম্মেলনে ঢাকায় গিয়েছিলেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলেন। যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনিও ছিলেন অনুপস্থিত। এ কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করতে বিলম্ব হয়েছে।
নিহত কিশোরের বাবা আবদুল হাই জানান, তাঁর ছেলে খেলতে গিয়ে মারা গেছে। কারও বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করতে ছেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি পাননি। দু'দিন পর ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পেয়েছেন। এটা তাঁদের জন্য অনেক কষ্টের।
মন্তব্য করুন