কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালকিনি প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে অধ্যক্ষের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কলেজের সভাপতি।

জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর অধ্যক্ষের অফিসের সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে সভাপতি ও অধ্যক্ষের দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে আসে। এরপর অব্যবস্থাপনা, হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ও ২৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

মানবববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, অধ্যক্ষ কখনও খোঁজখবর নেন না, ক্লাসরুমের বেহাল দশা। থাকার মতো কোনো হোস্টেল নেই। অথচ করোনকালেও বেতন-ভাতা নিয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, কলেজের সুনাম শুনে তাঁরা সন্তানদের ভর্তি করেছেন। কিন্তু সেখানে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা রয়েছে।

প্রভাষক আজিজুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ কলেজে এসে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন। প্রভাষক আয়শা খানম বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীরা ২৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ২০১৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার পারিশ্রমিকও পাননি।

সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কলেজ সরকারিকরণের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো সহযোগিতা করেন না। সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ায় কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ হাসানুল হক সিরাজী বলেন, তাঁকে কলেজ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে একটি মহল। নেতৃত্ব দিচ্ছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। শিক্ষক নিয়োগ, অতিরিক্ত ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায়ের প্রস্তাব দেন তাঁরা। সেটি মেনে না নেওয়ায় ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি নিজেও বেতন পাননি।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, ক্যামেরা খোলা হয়নি। তবে তাঁর কক্ষে ক্যামেরার দরকার কি? দীর্ঘদিন কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকরা বেতনও পাচ্ছেন না।